প্রকাশিত: ০৩/১২/২০১৯ ৯:১৯ এএম
ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্ক::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে নেদারল্যান্ডস সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার মাদ্রিদে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আবদুল মোমেন প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, ‘আগামী সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের শুনানিতে যোগ দিতে মিয়ানমারের স্ট্যাট কাউন্সিলর অং সান সুচি আপনাদের দেশ সফর করবেন। সে সময় নেদাল্যান্ডসের উচিত হবে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা।’

সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমও উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারের সৃষ্টি এবং এর সমাধানও তাদেরই করতে হবে।

তিনি মার্ক রুটেকে বলেন, ‘মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশী এবং বন্ধুপ্রতীম দেশ। তারা সবসময়ই বলে আসছে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নেবে। তারা কখনোই বলেনি যে, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত নেবে না। কিন্তু এ ব্যাপারে তাদের আন্তরিকতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এ প্রসঙ্গে আপনারা সহায়তা করতে পারেন।’

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রুটেকে জানান, ১১ লাখ রোহিঙ্গা আগমনের কারণে কক্সবাজারের পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। সরকার ভাসানচর নামে একটি দ্বীপে সাময়িকভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদানে দ্বীপটির উন্নয়ন করেছে।

শেখ হাসিনা রাজনৈতিক সমর্থন প্রদানের মাধ্যমে সোচ্চার হওয়া এবং রোহিঙ্গাদের জরুরি সহায়তা দানের জন্য নেদারল্যান্ডসকে ধন্যবাদ জানান।

শেখ হাসিনা আগামী বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।

পরে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তারা রোহিঙ্গা ও জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে মিয়ানমারের নাগরিকত্বের আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে চায় না।

শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট ইস্যুতে চীন, ভারত, জাপান এবং থাইল্যান্ড বাংলাদেশের সঙ্গে একমত এবং এ ব্যাপারে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তারাও বলছে, রোহিঙ্গাদের উচিত তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়া।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি মিয়ানমারের উচিত আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করা। কারণ আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং আঞ্চলিক শান্তি চাই।’

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান মিয়ানমার সফর করবেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সকল পর্যায়ে বাংলাদেশ সহযোগিতা ও যোগাযোগ করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবেলায় সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পর্কে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেন।

সূত্র : বাসস

পাঠকের মতামত

আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট সমাধান প্রয়োজন: ড. ইউনূস

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানো এবং ন্যায়সঙ্গত উত্তরণের পথ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ...

জাতিসংঘে প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ, প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিন

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮১তম অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বাংলাদেশ। এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ...

জাতিসংঘে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে হামাসমুক্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস হয়েছে। ...